বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
মন্টানার রকি পর্বতমালায় ক্যাম্পিং ও হাইকিং করছিলেন প্রফেসর ফ্রেড র্যামসডেল। হঠাৎ স্ত্রীর চিৎকার শুনে ভাবেন, হয়তো ভালুক এসেছে। কিন্তু পরে জানতে পারেন, তিনি আসলে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। আর সেই খুশিতেই চিৎকার করে উঠেছেন স্ত্রী লরা ও’নিল।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি। এ বছর সম্মানজনক এই পুরস্কার জিতেছেন তিনজন। তাদেরই একজন ফ্রেড র্যামসডেল
তিনি জানান, ফোন এয়ারপ্লেন মোডে থাকার কারণে নোবেল কমিটির রাত ২টার সময় করা কলটি মিস করেন। পরে স্ত্রীর ফোনে প্রচুর টেক্সট মেসেজ আসার খবর পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। ‘তুমি নোবেল জিতেছো!’— চিৎকার করে ওঠেন লরা। র্যামসডেল প্রথমে তার কথা বিশ্বাস করতে পারেননি।
৬৪ বছর বয়সী র্যামসডেল ও তার সহকর্মীরা রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গবেষণার জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন। তার গবেষণা অটোইমিউন রোগ, যেমন- আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ও ক্রোনস রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করেছে।
র্যামসডেল জানান, তিনি সাধারণত ছুটির সময় ফোনে অনলাইন থাকেন না। তিন সপ্তাহের হাইকিং ট্রিপের প্রায় শেষ পর্যায়ে মন্টানার ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কের কাছে অবস্থান করছিলেন তারা।
র্যামসডেলকে শেষ পর্যন্ত নোবেল অ্যাসেম্বলির সাধারণ সম্পাদক থমাস পারেলম্যানের সঙ্গে কথা বলতে প্রায় ২০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পারেলম্যান জানান, ২০১৬ সালে তিনি এই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোনো পুরস্কারবিজয়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে এতটা সময় লাগেনি।
নোবেল জয়ের পর র্যামসডেল বলেছেন, আমি কৃতজ্ঞ এবং বিনীত। এই কাজের স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত। এখন আমার সহকর্মীদের সঙ্গে এই সুখবর ভাগ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
কেএএ/